Half Dozen Disturbing and Controversial Movie Review

★★Spoiler Alert★★

ভালো মুভি তো জীবনে অনেক দেখেছি। তবে বহুদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত ও আপত্তিকর মুভিগুলো দেখার। কিন্তু সাহস করতে পারি নি, বারবার ভয় হচ্ছিল যদি পাগল-টাগল হয়ে যাই!! সে যাই মনে হোক, শেষমেষ সাহস করে ডাউনলোড দিয়ে দেখা শুরু করলাম এমনই কিছু মুভি। যতদিন ধরে এই মুভিগুলো দেখেছি, মনের মধ্যে সবসময় একটা অস্বস্তি কাজ করেছে। রাতে ঘুমাতেও সমস্যা হয়েছে কিছুটা। সৌভাগ্যবশত মানসিক কোনো সমস্যা বোধ করি নি। তবে হার্ট দূর্বল মানুষদের জন্য রইল তীব্র সতর্কতাবাণী।

⚠⚠Extreme 18+ Warning⚠⚠

  1. A Serbian Film (2010)

মুভিটিকে দেখার পর প্রথমেই মনে হয়েছে, এই মুভিটি সেন্সর বোর্ড পাস করল কীভাবে!! এটাই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাহিনীর মুভি। মুভির কাহিনী মিলোস নামের এক প্রাক্তন পুরুষ পর্নস্টারকে নিয়ে, যিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার ক্যারিয়ার হতে অব্যহতি নেয়ার জন্য এক প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। প্রস্তাবদাতা তাকে জানায় যে তারা একটি সিক্রেট অর্গানাইজেশনের জন্য পর্ন ভিডিও বানায়। পরে মিলোস ধীরে ধীরে জানতে পারে যে তারা যেসব পর্নের শ্যুটিং করে, সেগুলো মূলত নীতিবহির্ভূত ও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনৈতিক পর্ন ভিডিও অর্থাৎ চাইল্ড পর্ন, স্নাফ ফিল্ম প্রভৃতি। সমগ্র মুভিতে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও তীব্র অ্যাডাল্ট দৃশ্য রয়েছে, যেগুলোর কিছু কিছু অপ্রাপ্তবয়ষ্ক শিশু সম্পর্কিত। মুভিটির জঘন্যতম দৃশ্যটি ছিল এক সদ্য নবজাতক শিশুকে ধর্ষণ করার ভিডিও, যেটা হজম করা যেন জীবনের কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটা ছিল। মুভির এই দৃশ্যটি নিয়ে ক্যাথোলিক চার্চ কমপ্লেইন করেছিল, যদিও শেষপর্যন্ত ব্যাপারটা নিয়ে আর জলঘোলা হয় নি।

  1. Salò, or the 120 Days of Sodom (1975)

পিয়ের পাওলো প্যাসোলিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের ইতালির সবচেয়ে বিতর্কিত মুভি পরিচালক। তার এই বিতর্কিত জীবনে মৃত্যুর হুমকিও কম আসেনি এবং শেষ পর্যন্ত এক আততায়ীর হাতেই তার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। মুভিটির কাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নাৎসি বাহিনীর এক ফ্যাসিস্ট গ্রুপ কর্তৃক কিছু তরুণ-তরুণীকে অকথ্য নির্যাতন করার ঘটনা নিয়ে। মুভিটি দেখার সময় সেসব ফ্যাসিস্ট গ্রুপে সদস্যদেরকে যেন পশুর চেয়েও নিচ বলে মনে হবে। পুরো মুভিতে অসংখ্য অসহনীয় শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের দৃশ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জিহবা কেটে ফেলা, চোখ তুলে নেয়া, যৌনাঙ্গে জ্বলন্ত মোমবাতি ধরা প্রভৃতি। মুভিটির সবচেয়ে কুরুচিপূর্ণ ঘটনাটি ছিল মল ভক্ষণের দৃশ্য। মুভিটিতে এক ডিনারে মেন্যু হিসেবে সবাইকে মল সার্ভ করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা এই দৃশ্যটি দেখা যেন নিজের বমি হওয়াকে আটকিয়ে রাখার মত ব্যাপার।

  1. Martyrs (2008)

অত্যধিক রক্তপাত ও সহিংস দৃশ্যাবলির দিক থেকে চিন্তা করলে এই মুভি যেন কুয়েন্টিল ট্যারান্টিনোর মুভিকেও হার মানাবে। মুভির কাহিনীতে এক গুপ্ত সংস্থা বিশ্বাস করে যে মানুষকে তীব্র নির্যাতন চালাতে থাকলে সে একসময় দৈবচক্ষু প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর পরবর্তী জগৎকে দেখতে পাবে। এইধরণের মানুষদেরকে মুভিতে বলা হয় “Martyr”. পরলোক সম্বন্ধে যাবার আসায় তারা বহু মানুষকে বদ্ধ ঘরে রেখে নির্যাতন চালাতে থাকে। লুসি নামের এক ছোট মেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে ও পরবর্তীতে অ্যানা নামের আরেকটি মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। ঘটনাক্রমে লুসি আত্মহত্যা করে ও অ্যানা সেই গুপ্ত সংস্থার হাতে পরে যায়। মুভিতে দেখানো নির্যাতন, রক্তপাত ও সহিংসতার দৃশ্যগুলো এতটাই তীব্র, যে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকাই অনেক কষ্টকর ব্যাপার। মুভির এক দৃশ্যে অ্যানাকে জীবন্ত রেখে সার্জারি করে তার পুরো শরীরের চামড়া তুলে নেয়া হয়, যে নির্যাতনকে মধ্যযুগের ভাষায় “Flaying” বলা হত। চামড়া তুলে নেয়ার পর অ্যানার শরীরের অবস্থা মোটেও দেখার মত ছিল না।

  1. Cannibal Holocaust (1980)

মুভিটি বহু বছর পর্যন্ত টপ ডিস্টার্বিং মুভির লিস্টে শীর্ষে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে অনেক নতুন মুভি আসায় সে রেকর্ড আর ধরে রাখা সম্ভব হয় নি। মুভিটির কাহিনী একদল অভিযাত্রীর আমাজন রেইনফরেস্টে এক মানুষখেকো উপজাতির সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তকে নিয়ে। মুভিতে প্রচুর প্রাণী হত্যার দৃশ্য রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বাস্তব এবং কোনো কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজিংয়ের সাহায্য নেয়া হয় নি দৃশ্যগুলির নির্মাণে। মুভিটিকে অনেক সময় স্নাফ ফিল্ম হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। অনেকেই ধারণা করেন যে মুভিটিতে দেখানো মানুষ হত্যার দৃশ্যগুলোও বাস্তব ছিল। যদিও পরবর্তীতে সেটা নিয়ে পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও তা প্রমাণিত হয় নি। মুভিটির সবচেয়ে বিতর্কিত দৃশ্যটি ছিল এক নারীর উলঙ্গ লাশের দৃশ্য, যেখানে তার মলদ্বারের মধ্য দিয়ে একটি বাঁশ ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে বের করে সেই বাঁশটির সঙ্গে তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বেশিরভাগ ক্রিটিকই এই দৃশ্যটি দেখার পর সেটাকে গ্রাফিক্যাল বলে বিশ্বাসই করতে পারেন নি।

  1. The Human Centipede II (2011)

টম সিক্স পরিচালিত “The Human Centipede Trilogy” ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি জগতের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক মুভি সিরিজগুলোর একটি। মুভি সিরিজটি একে যেমন ডিস্টার্বিং, তেমনি এর কাহিনীও জঘন্য৷ সিরিজটির প্রথম অংশে একটি জঘন্য ধারণার প্রবর্তনা ও শেষ অংশটিকে কিছুটা কমেডিরূপে তৈরি করা হলেও দ্বিতীয় পার্টটি কুখ্যাত ডিস্টার্বিং মুভিগুলোর মধ্যে এক অন্যতম জায়গা দখল করে আছে৷ মুভিটিতে একে যেমন অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া বহু কাটাকাটি ও রক্তপাতের দৃশ্য রয়েছে, তেমনি আরো বহু কুরুচিপূর্ণ ঘটনা উঠে এসেছে মুভিটিতে৷ মুভির এক দৃশ্যে এক বাবা তার বাচ্চাকে ধর্ষণ করে, যা অনেক আপত্তিকর একটি ব্যাপার ছিল। মুভিটির একটি অতি জঘন্য ঘটনা ছিল, যেখানে এক লোক শিরীষ কাগজ ব্যবহার করে হস্তমৈথুন করে। এই দৃশ্যটি ছিল যেন স্বাভাবিক মস্তিষ্কের চিন্তা-ভাবনার উর্ধ্বে, যা অনেক সময় ভাবতেই কষ্ট হয়।

  1. Antichrist (2009)

লারস ভন ট্রায়ারকে ইউরোপের সবচেয়ে সাহসী মুভি পরিচালক হিসেবে দাবী করা হয়ে থাকে। এটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত মুভি। ট্রায়ারকে মূলত মুভিতে অতিরিক্ত খোলামেলা দৃশ্য ব্যবহার জন্যই দর্শক ও ক্রিটিকদের কাছে বহুল বিতর্কিত হতে হয়েছে। তার জীবনের অন্যতম ফিল্ম সিরিজটি ছিল “The Depression Trilogy”, যার শেষ পার্ট ছিল এই মুভিটি। এই মুভিটি যতটা না ডিস্টার্বিং, তার চেয়ে বেশি বিতর্কিত। মুভির কাহিনীতে মূলত প্রদর্শন করা হয়েছে ছেলে হারানো এক বাবা-মায়ের হতাশাগ্রস্ত জীবনকে। মুভিতে প্রতীকীরূপে কিছু পশু সম্পর্কিত সহিংসতার দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যার একটিতে এক শেয়াল তার নিজের শরীরের ভেতরের অঙ্গ খেয়ে ফেলে। এসব দৃশ্যে স্পষ্টতই হাই গ্রাফিক্সের ব্যবহার হয়েছে। মুভির সবচেয়ে অসহনীয় দৃশ্যটিতে সেই সন্তানহারা মা তার যৌনাঙ্গের “ক্লিটোরিস” অংশটি কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলে ও তার ফলে রক্তপাত ঘটে, যে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ অনস্ক্রিন দেখানো হয়। এছাড়াও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের বিষয়টিও বেশ ব্যাপকভাবে ফুটে উঠেছে মুভিটিতে।

Watch_at_your_own_risk!!

“Some Like It Hot” Review

Movie_Name: Some Like It Hot (1959)

Genre: Comedy, Music, Romance

Director: Billy Wilder

IMDB_Rating: 8.2/10 (237K Votes)

Tomatometer: 95% (60 Counts)

Metascore: 98/100 (19 Critic Reviews)

Runtime: 2h 1min

Personal_Rating: 8/10

92% Google Users Like This

Spoiler_Alert

চার্লি চ্যাপলিনের কয়েকটা মুভি ছাড়া পুরাতন সাদা-কালো কমেডি মুভি দেখা হয় নি বললেই চলে। তাই দেখতে বসলাম এই মুভিটা। তৎকালীন বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো অভিনিত মুভিগুলোর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। মুভিটিতে তার অভিনয়ও ছিল এক কথায় অসাধারণ। মুভিটি দেখে সরাসরি না হাসলেও বিনোদনের কোনো কমতি ছিল না। মুভির কাহিনীতে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুভিটি ২০১৭ সালে BBC-র ৫৬ দেশ থেকে ২৫৩ ফিল্ম ক্রিটিকদের এক পোলে সেরা কমেডি মুভি নির্বাচিত হয়।

মুভির কাহিনী শুরু হয় দুজন মিউজিসিয়ানকে নিয়ে। তাদের নাম ছিল জো আর জেরি। তারা কাকতালীয়ভাবে এক গ্যাং কর্তৃক কিছু লোকের খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে যায়। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তারা সেখান থেকে পালিয়ে আসে। গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে শহরের আনাচে কানাচে খুজতে আরম্ভ করে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তারা নারী বেশভূষা ধারণ করে ও নাম পালটিয়ে জো হয়ে যায় জোসেফিন, জেরি হয়ে যায় ড্যাফনে। তারা ছদ্মবেশে জীবন বাঁচাতে সুইট সু নামে এক মহিলা মিউজিসিয়ানদের দলে যোগ দেয়। সেই দলের সুগার নামের এক মেয়ের সঙ্গে তাদের গভীর বন্ধুত্ব হয়। সুগার চরিত্রটিতে বিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো অভিনয় করেন। তারা সেসময় ট্রেনে চড়ে যাত্রা করছিল মায়ামির উদ্দেশ্যে।

মায়ামিতে যাবার পর তাদের সাথে আরো অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটতে থাকে। মেয়ে সেজে মেয়েদের মধ্যে থাকতে যে তাদের যে কী চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়, তা মুভির শুরু থেকেই সুন্দরভাবে প্রদর্শন করা হয়। কাহিনীর মাঝখানে জো আবার নকল কোটিপতি ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ নিয়ে সুগারকে পটানোর চেষ্টা করে। আবার অন্য এক কোটিপতি ঘরের মধ্যবয়স্ক লোক জেরির প্রেমে পড়ে যায়। অন্যদিকে সেই গ্যাংয়ের সদস্যরাও মায়ামির হোটেলে জো আর জেরির সন্ধান পেয়ে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত তা পরিণত হয় রোমাঞ্চকর এক ঘটনায়, যা জেরি আর জোয়ের জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত কী ঘটল তাদের সাথে? জানতে হলে দেখেই ফেলুন মুভিটি।

Happy_Watching

“Seven Samurai” Movie Review

Movie_Name: Seven Samurai (1954)

Industry: Japanese

Genre: Action, Adventure, Drama

Director: Akira Kurosawa

IMDB_Rating: 8.6/10 (306K Votes)

Tomatometer: 100% (62 Counts)

Metascore: 98 (6 Critic Movies)

Runtime: 3h 27min

Personal_Rating: 10/10

92% Google Users Like This

Spoiler_Alert

এটি শুধুই আমার দেখা সেরা জাপানিজ মুভিই না, একই সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে ভালোলাগা মুভিগুলোর মধ্যেও এটি অন্যতম। মুভিটি যেন তৎকালীন সময়ের গ্রামীণ খেটে খাওয়া মানুষদের জীবনযাত্রার বাস্তব প্রতিবিম্বকেই তুলে ধরেছে। মুভিটি ২০১৮ সালে BBC কর্তৃক অনুষ্ঠিত বিশ্বের ৪৩ দেশ থেকে ২০৯ ক্রিটিকদের এক পোলের সেরা ফরেইন-ল্যাংগুয়েজ ফিল্ম (নন-ইংলিশ) হিসেবে নির্বাচিত হয়।

মুভির কাহিনীর মূলত এক পাহাড়ী গ্রামকে নিয়ে, যে গ্রামে বহুকাল ধরে দস্যুরা তাদের ফসল ডাকাতি করে আসছে। এক গ্রামবাসী দস্যুদের গ্রামে আবার হামলা করার পরিকল্পনার কথা জেনে যায়। গ্রামবাসীরা সবাই আলোচনা করতে বসে কীভাবে দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা যায়। কারণ দস্যুরা তাদের কষ্টের চাষ করা ফসল চুরি করে নিয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত অনাহারে থাকা ছাড়া গ্রামবাসীদের আর কোনো উপায়ই থাকে না। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য গিসাকুর কাছে গ্রামবাসীরা সবাই পরামর্শ চায়। গিসাকু তাদের কিছু সামুরাই(জাপানি যোদ্ধা) ভাড়া করার উপদেশ দেয়। কিন্তু সামুরাই ভাড়া করার মত অর্থ গ্রামবাসীদের ছিল না। গিসাকু তাদের ক্ষুধার্ত সামুরাইয়ের খোজ করতে বলে।

এরপরেই আসে মধ্যবয়ষ্ক ও অভিজ্ঞ এক সামুরাই কামবেইয়ের কাহিনী, যে এক তরুণকে চোরের জিম্মি থেকে উদ্ধার করছিল। ছেলেটিকে বাঁচানো দেখে কাতশুশিরো নামের এক অল্পবয়সী সামুরাই তার শিষ্য হতে চায়। গ্রামবাসীরা সাহায্যের প্রস্তাব দিলে তৎক্ষণাৎ কামবেই তাতে হ্যাঁ বলে দেয়। সে সেই কাজে তার অনেক পুরনো বন্ধু শিচিরোজি ও সঙ্গে আরো তিন সামুরাই– গোরোবেই, হেইহাচি ও কিউজোকে নিযুক্ত করে। সময়ের অভাব হওয়ায় কাতশুশিরোকেও সেই দলে নিয়ে নেয়া হয়। গ্রামের দিকে যাত্রাপথে কিকুচিয়ো নামের এক অপ্রত্যাশিত লোক তাদের দলে যোগ দেয়, যে নিজেকে সামুরাই বলে দাবি করে। এই সাতজনকে নিয়েই অগ্রসর হতে থাকে মুভিটির কাহিনী।

পাহাড়ি সেই গ্রামটিতে তাদের অনুপ্রবেশের ঘটনাটি ছিল মুভিটির সবচেয়ে হাস্যকর ঘটনাগুলোর একটা। এরপর অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে মুভির কাহিনী এগোতে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে দস্যুদের সাথে তাদের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর৷ ঘটতে থাকে রক্তপাত, গ্রামবাসী ও দস্যুদল- উভয়পক্ষেই অনেক মানুষ মারা যেতে থাকে। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে চলতে থাকা কাহিনী লিখে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। মুভিটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি ছিল গ্রামবাসীদের দস্যুদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন ও তার পরবর্তী ঘটনাটি।

মুভিটির রানটাইম বেশি হওয়ায় ভেবেছিলাম এক বসাতে দেখা হবে না বোধহয়। কিন্তু মুভিটি দেখার সময় সেটার অনন্যসাধারণ ও মনমুগ্ধকর বাস্তবধর্মী কাহিনীর যেন ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম আমি, কীভাবে যে সাড়ে তিন ঘন্টা কেটে গেল- টেরও পাই নি। মুভির চরিত্রগুলি যেন তৎকালীন জাপানের সাধারণ গ্রামবাসীদেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। আর প্রত্যেক অভিনেতা/অভিনেত্রির অভিনয়ও ছিল অসাধারণ, যেন তারা চরিত্রের একদম ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন।

💯পুরোই একশতে একশ💯

Happy_Watching

“Blade Runner” Movie Review

Movie_Name: Blade Runner (1982)

Genre: Action, Sci-Fi, Thriller

Director: Ridley Scott

IMDB_Rating: 8.1/10 (675K Votes

Tomatometer: 90% (117 Counts)

Metascore: 84/100 (14 Critic Reviews)

Runtime: 1h 57min

Personal_Rating: 9/10

85% Google Users Like This

হালকা_স্পয়লার

ছোটবেলা সাই-ফাই মুভি একেবারে কম দেখা হয় নি। এর মধ্যে অনেক মুভিতেই এমন এক ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে দেখিয়েছে যেখানে মানুষ যাত্রী চলাচলের জন্য আকাশপথের যানবাহন আবিষ্কার করেছে। মানুষ আর রাস্তা ব্যবহার করে না, আকাশই তাদের রাস্তা যেখানে চলছে উড়ন্ত গাড়ি। যদিও আমাদের বর্তমান পৃথিবীতে এখনো সেই আবিষ্কার প্রচলিত হয় নি, তবে ১৯৮২ সালের কোনো মুভিতে এমন দৃশ্য দেখব, তাও কখনো ভাবি নি। মুভিটি ২০০৪ সালে ব্রিটিশ পত্রিকা The Guardian কর্তৃক ৫৬ জন বিজ্ঞানীদের এক প্যানেলের ভোটে সেরা সাই-ফাই মুভি হিসেবে নির্বাচিত হয়। ২০০৮ সালে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন New Scientist কর্তৃক অনুষ্ঠিত কয়েক হাজার পাঠকের এক ভোটে ১২% ভোট পেয়ে মুভিটি সর্বকালের প্রিয় সাই-ফাই মুভি নির্বাচিত হয়। এছাড়াও ২০১১ সালে Total Film ম্যাগাজিনের একটি পোলেও এটি শীর্ষ অবস্থান পায়।

মুভিটিতে এক অতি উন্নত জগত জগৎ দেখানো হয়েছে, যেখানে মানুষ উন্নত বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃত্রিম মানুষ তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করে। এসব কৃত্রিম মানুষদের বলা হয় “রেপ্লিক্যান্ট”। টাইরেল কর্পোরেশন নামের এক প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজাইন করে মূলত আউটার স্পেসে কর্মী হিসেবে কাজ করানোর জন্য। কিন্তু রয় ব্যাটি নামের এক রেপ্লিক্যান্টের নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত উন্নত রেপ্লিক্যান্টদের একটি গ্রুপ পৃথিবীতে পালিয়ে আসে। প্রাক্তন পুলিশ অফিসার রিক ডাকার্ডের ঘাড়ে দায়িত্ব পরে সেইসব রেপ্লিক্যান্টদের খুজে বের করার। এভাবেই মুভিটির কাহিনীর সূত্রপাত হয়। মুভিতে রেপ্লিক্যান্টদের শনাক্ত করার এই গ্রুপটিকে বলা হয় “ব্লেড রানার”।

মুভির কাহিনীতে রেপ্লিক্যান্টদের মূলত কাহিনীর ভিলেন চরিত্র হিসেবে দেখানো হলেও মুভিটি দেখার সময় দর্শকদের মনে তাদের প্রতি কিছুক্ষণের জন্য হলেও একটি আলাদা মায়ার অনুভূতি জন্ম নিতে বাধ্য। আর এত উন্নত পৃথিবীর কাহিনী ৮০-র দশকের মত সময়ে যথেষ্ট দুষ্প্রাপ্য ছিল, যার কাহিনী অনেক রিসেন্ট সাই-ফাই মুভিকেও হার মানায়। আর রিক ডাকার্ডের চরিত্রে হ্যারিসন ফোর্ডের অভিনয়ও ছিল দেখার মত। এক কথায় অসাধারণ একটি মুভি।

Happy_Watching

“The Exorcist” Movie Review

Movie_Name: The Exorcist (1973)

Genre: Horror

Director: William Friedkin

IMDB_Rating: 8/10 (352K Votes)

Tomatometer: 82% (79 Counts)

Metascore: 81 (21 Critic Review)

Runtime: 2h 2min

Personal_Rating: 8/10

87% Google Users Like This

No_Spoiler

অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল একটা পুরনো আমলের হরর ফিল্ম দেখার। কিছুক্ষণ খোজাখুজি করার পর এই মুভিটার ব্যাপারে জানতে পারলাম। ৭০-এর দশকের আমলে বা তার পরেও অনেকদিন দর্শক ও ক্রিটিকদের কাছে সেরা হরর মুভির স্থান দখল করে ছিল এই মুভিটি। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট ঠিক বলতে পারব না, কারণ রিসেন্ট হরর ফিল্মগুলো অনেকদিন ধরে দেখা হয় না। ২০১২ সালে Time Out London কর্তৃক অনুষ্ঠিত এক ভোটে ১৫০ জন এক্সপার্টদের মধ্যে ৫৩ জনের ভোট পেয়ে এটি সর্বকালের সেরা হরর মুভি নির্বাচিত হয়। এছাড়াও এটি ২০১৫ সালে HitFix ডট কম ওয়েবসাইটের এক পোলে ১০৪ জন হরর প্রফেশনালদের মধ্যে ৬৭ জনের ভোট পেয়ে এটি সেরা হরর মুভির মর্যাদা পায় এবং ২০১৪ সালে Rolling Stone magazine-এর পাঠকদের এক ভোটেও এটি শীর্ষ স্থান পায়।

মুভিটিকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ইতিহাসের এক অন্যতম অভিশপ্ত মুভি বলা হয়। কারণ মুভিটির সাথে সম্পর্কিত অনেককেই মুভিটির শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে কিংবা পরবর্তীতে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি করা হয়। তবে মুভিটি দেখার আগে যতটা ভয়ংকর বলে মনে করেছিলাম, দেখার পর ততটাও ভয় লাগে নি। হয়তোবা হতে পারে বয়সের সাথে সাথে আমার হরর ফিলিংসই কমে গিয়েছে।

মুভিটি মূলত ঔপন্যাসিক উইলিয়াম পিটার ব্ল্যাটির লেখা একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। উইলিয়াম ব্ল্যাটি আবার আমেরিকার জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট থাকার সময় এক এক্সোরসিজমের কাহিনী শুনে সেটা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উপন্যাসটি লেখেন। তাই মুভিটিকে কিছুটা সত্য ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত বলেই দাবি করা হয়। মুভির কাহিনী রেগান ম্যাকনেইল নামের এক ১২ বছর বয়সী মেয়ের ডেমোনিক পজেশন নিয়ে। রেগানের চরিত্রে লিন্ডা ব্লেয়ারের অভিনয় ছিল এক কথায় অসাধারণ। আর এক্সোরসিস্ট ফাদার মেরিনের চরিত্রটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে তৎকালীন আমেরিকায় ঘটা সমস্ত ডেমোনিক পজেশন ও এক্সোরসিসমের ঘটনার বাস্তব প্রতিবিম্বকেই প্রকাশ করা হয়েছে এই মুভিটি দ্বারা।

Happy_Watching

“This is Spinal Tap” Movie Review

The_Only_Movie_in_IMDB_Rated_out_of_11

Movie_Name: This is Spinal Tap(1984) [Also known as “This Is Spın̈al Tap: A Rockumentary by Martin Di Bergi”]

Genre: Comedy, Music

Director: Rob Reiner

IMDB_Rating: 7.9/11 (126K Votes)

Tomatometer: 95% (64 Counts)

Metascore: 97/100 (30 Critic Reviews)

Runtime: 1h 22min

Personal_Rating: 8/10

No_Spoiler

মুভির IMDB Rating-এর জায়গায় Out of 11 দেখে হয়তোবা অনেকেই আকাশ থেকে পড়েছেন!! কিন্তু এটা তেমন অবাক হওয়ার মত কোনো বিষয় না, কেননা ডিরেক্টর মুভির কাহিনীর স্বার্থেই দুষ্টুমি করে এটা করিয়েছেন। যেহেতু শুরুতেই “No Spoiler” বার্তা টানিয়ে রেখেছি, তাই সেই কাহিনী সম্পর্কে কিছু বলছি না। আপনারাই মুভিটি দেখে আবিষ্কার করুন সেটা। এখন সরাসরি মুভির কথায় আসি।

“Wolf of Wall Street”-এর অভিনেতা রব রেইনারের ক্যারিয়ারের এক অন্যতম পরিচালনা ছিল এই মুভিটি। আর এটাই আমার জীবনে দেখা প্রথম মক ডকুমেন্টারি। “Mock Documentary” শব্দটি মুভি জগতের ইতিহাসে এক ভিন্নধর্মী ও সৃজনশীল কন্সেপ্ট। এটি এমন এক ধরণের মুভিকে বোঝায়, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব অথচ এমনভাবে প্রদর্শিত হয় যেন তা একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। এই মুভিটি ২০১৬ সালে Time Out London কর্তৃক অনুষ্ঠিত ৭০ জন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান, অভিনেতা, লেখক ও পরিচালকের ভোটে সর্বকালের সেরা কমেডি মুভি নির্বাচিত হয়।

মুভির কাহিনী এক ইংলিশ ব্যান্ডদলকে নিয়ে, যার নাম হল “Spinal Tap”. মুভিতে ব্যান্ডদলটিকে “One of England’s loudest bands” হিসেবে অভিহিত করা হয়। মুভিটিতে দেখানো হয় মার্টিন ডি বার্গি নামের এক ফিল্মমেকার এই ব্যান্ডদলটিকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে এই নামের কোনো মুভি পরিচালকই নেই, আর “Spinal Tap” নামে কোনো ব্যন্ডদলও কোনোদিন ছিল না। এই কারণেই মূলত মুভিটিকে মক ডকুমেন্টারি নামক এক বিশেষ ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়া হয়েছে। মুভিতে মার্টিন ডি বার্গির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক রব রেইনার স্বয়ং। মুভির পরতে পরতে কৌতুক ও হাস্যরসাত্মক ঘটনা দর্শকদের বিনোদনের জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও যারা হার্ড মেটালের গান শুনতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বেশ কিছু গান লাইভ পারফর্মেন্সের আকারে জুড়ে দেয়া হয়েছে মুভিটিতে। এছাড়াও ব্যান্ডদলটির সদস্যদের কীর্তিকলাপ, তাদের প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি, মূলত অভিনয়ের মাধ্যমে ঘটনাবলি যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দর্শকদের মুগ্ধ করতে বাধ্য।

Happy_Watching

“Mad Max 2” Movie Review

Movie_Name: Mad Max 2 (1981) [Also known as “Mad Max : The Road Warrior”]

Genre: Action, Adventure, Sci-Fi, Thriller

Director: George Miller

IMDB_Rating: 7.6/10 (162K Votes)

Tomatometer: 93& (45 Counts)

Metascore: 77/100 (15 Critic Reviews)

Runtime: 1h 36min

Personal_Rating: 8/10

90% Google users liked this

No_Spoiler

প্রখ্যাত মুভি ডিরেক্টর জর্জ মিলারের ক্যারিয়ারের এক অন্যতম সাফল্য ছিল “Mad Max” Film Series-টি। অরিজিনাল সিরিজটির মধ্যে ছিল ১৯৭৯ সালে রিলিজ হওয়া “Mad Max”, ১৯৮১ সালে রিলিজ হওয়া “Mad Max 2” এবং ১৯৮৫ সালে রিলিজ হওয়া “Mad Max Beyond Thunderdome”. এই পুরাতন সিরিজটির তিন মুভিতেই ম্যাক্স-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মেল গিবসন।

তবে জর্জ মিলার ২০১৫ সালে যখন আসল “Mad Max” সিরিজের রিবুট “Mad Max : Fury Road” মুভিটি নির্মাণ করেন, যেখানে ম্যাক্স চরিত্রে অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেতা টম হার্ডি, তখন তা আগের অরিজিনাল সিরিজিকে ছাপিয়ে রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে ওঠে। তবে অরিজিনাল সিরিজ নির্মাণের সময় প্রথম পার্ট অর্থাৎ “Mad Max(1979)”-টি বক্স অফিস কাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু দ্বিতীয় পার্ট অর্থাৎ “Mad Max 2(1981)” বক্স অফিসে ততটা লাভ করতে না পারলেও এটি অনেক দর্শকদের কাছেই বেশি প্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়াও “Mad Max 2” ২০১৫ সালে আমেরিকান ম্যাগাজিন Rolling Stone কর্তৃক অনুষ্ঠিত পাঠকদের এক ভোটে সর্বকালের সেরা মুভি হিসেবে নির্বাচিত হয়।

মুভির কাহিনীর প্রেক্ষাপট আর আলাদা কিছু না। “Mad Max : Fury Road” মুভিটি হয়তোবা অনেকেই দেখেছেন। পুরো “Mad Max” মুভি সিরিজের প্রেক্ষাপট একই ধরণের। তবে এই মুভির কাহিনীতে মূলত পোস্ট-এ্যাপোক্যালিপ্টিক সমসময়ে অস্ট্রেলিয়ান ওয়েস্টল্যান্ডে এক ধনী গ্যাসোলিন-রিচ কম্যুনিটিকে কিছু স্থানীয় ডাকাতদলের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করতে রাজি হয় এক ড্রিফটার। এই ড্রিফটার আর কেউ নয়, স্বয়ং ম্যাক্স। মুভির দৃশ্যাবলি ও ঘটনাপ্রবাহের কথা চিন্তা করলে “Fury Road”-এরই প্রতিফলন পাওয়া যাবে মুভিটিতে।

বর্তমান সময়ের দর্শকদের কাছে মুভিটি কেমন লাগবে ঠিক বলা যায় না, তবে এখনও অনেক মানুষই আছেন যারা যেকোনো জিনিসের একদম অরিজিন বা রুটে যেতে পছন্দ করেন। কাজেই “Fury Road” দেখা সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ অবশ্যই রয়েছেন, যারা মুভি সিরিজটার সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে অর্থাৎ সেই পুরাতন অরিজিনাল সিরিজটির প্রতিও আগ্রহ দেখান। আর সেসব মানুষদের কাছে আজও সমাদৃত হয়ে আসছে সেই পুরনো মুভি সিরিজটি, বিশেষ করে এই দ্বিতীয় পার্ট অর্থাৎ “Mad Max 2” তাদের অনেকের কাছেই আলাদা অর্থ বহন করে আসছে। আর মুভিটি যতই পুরাতন হোক, সামগ্রিক দিক থেকে চিন্তা করলে, কন্সেপ্ট, প্লট, স্টোরিটেলিং থেকে শুরু করে সব দিক থেকেই মুভিটি সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে বেশ উন্নত মানের।

Happy_Watching

“Johnny Guitar” Movie Review

Movie_Name: Johnny Guitar (1954)

Genre: Drama, Western

Director: Nicholas Ray

IMDB_Rating: 7.7/10 (15K Votes)

Tomatometer: 93% (45 Counts)

Metascore: 83/100 (8 Critic Reviews)

Runtime: 1h 50min

Personal_Rating: 8/10

82% Google users liked this

Spoiler_Alert

ওয়েস্টার্ন জনরার এক অন্যতম ক্লাসিক হিসেবে এই মুভিটি খ্যাত। Le Western-এর ২৭ জন ফরাসি ক্রিটিকের তৈরি তালিকা “Ten Best Westerns”-এর সর্বাধিক উল্লেখিত মুভির স্থান দখল করে আছে এই মুভিটি।

এখন পর্যন্ত মুভি জগতে নির্মিত ওয়েস্টার্ন জনরার সবচেয়ে পাগলাটে মুভি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও মুভিটির প্রোডাকশনের মান বেশ সস্তা ছিল, তবু কাহিনী ও ঘটনাপ্রবাহের দিক থেকে একে কোনো অংশেই কম বলা যায় না। কাজেই সস্তা হলেও মুভিটির প্রোডাকশনকে কোনোভাবেই অর্থের অপচয় বলা যায় না। এছাড়াও মুভিটিকে বলা হয় সাইকোসেক্সুয়্যাল মেলোড্রামা, যা মুভি জগতের এক সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি ক্যাটাগরি। আর তার সঙ্গে ওয়েস্টার্ন জনরা মিলেমিশে যেন পুরোপুরি ভিন্ন এক কাহিনীর সৃষ্টি করেছে।

মুভির মূল চরিত্র গানস্লিঙ্গার জনি গিটার। এখানে এই চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল সে সবসময় নিজের সাথে একটি গিটার বহন করে। আর মূল নারী চরিতে এমা স্মল অত্যন্ত দুঃসাহসী এক মহিলা, যাকে মুভিটিতে “More like a man” বলে অভিহিত করা হয়। এমা স্মল মুভির কাহিনীতে একজন সেলুনের মালিক, যে পরবর্তীতে এক খুন ও ব্যাংক ডাকাতির দায়ে নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও রহস্যজনকভাবে অভিযুক্ত হয়। আর অন্যদিকে জনি গিটার এক ক্যাসিনো বস ভিয়েনাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নিযুক্ত হয়, যেখানে এমা তাকে তীব্রভাবে হিংসা করত। অন্যসব ওয়েস্টার্ন মুভির মত এখানে হিংসা, লোভ, প্রতিশোধ– কোনোকিছুরই কমতি নেই, সাথে যুক্ত হয়েছে ভিন্নধর্মী একটি প্লট। মুভির চরিত্রগুলোর কার শেষ পরিণতি কী হল, জানতে হলে দেখে ফেলুন মুভিটি।

Happy_Watching

“The Poseidon Adventure” Movie Review

Movie_Name: The Poseidon Adventure (1972)

Genre: Action, Adventure, Drama, Thriller

Director: Ronald Neam

IMDB_Rating: 7.1/10 (40K Votes)

Tomatometer: 79% (24 Counts)

Metascore: 70/100 (10 Critic Reviews)

Runtime: 1h 57min

Personal_Rating: 7/10

89% Google users like this

No_Spoiler

মুভিটি ২০০৪ সালের মে মাসে UCI Cinemas-এর ৫০০ জন স্টাফ মেম্বারদের ভোটে সেরা Disaster Movie হিসেবে নির্বাচিত হয়। এছাড়াও মুভিটি একাডেমি এ্যাওয়ার্ডস-এ বেস্ট মিউজিক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায়।

মুভির কাহিনী অনেকটাই Titanic মুভির মতো সমুদ্রে জাহাজ দুর্ঘটনা নিয়ে। কিন্তু Titanic মুভিটিতে দূর্ঘটনার পাশাপাশি একটি মধুর সম্পর্কের কাহিনী ও আরো অনেক ঘটনাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এই মুভিটিতে সম্পূর্ণরূপে ফোকাস করা হয়েছে মানুষের দুর্দশা ও দুর্ভোগের দিকে। এই জন্যই মূলত মুভিটি Disaster Movie হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মুভিটি মূলত পল গ্যালিকোর একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত, যা নিয়ে পরবর্তীতে রোনাল্ড নিল মুভিতে নির্মাণ করে। ৭০ দশকের সময়ে ঘটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ চক্রের উপর ভিত্তি করে মুভিটির ঘটনাবলির প্রেক্ষাপট নির্ধারণ করা হয়।

এক যাত্রীবাহী জাহাজ যাত্রী নিয়ে কোনো এক স্ক্র‍্যাপ ইয়ার্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সময় ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজটি সম্পূর্ণ উলটে যায়। সেই উলটো জাহাজটাই পানিতে ভেসে থাকে, যেটিকে তখনও কিছু যাত্রী বেঁচে ছিল। জাহাজটি উলটে যাওয়ার পর আটকে থাকা যাত্রীরা জাহাজ থেকে বের হবার রাস্তা খু্ঁজতে থাকে। সে অনুসন্ধানে পদে পদে তাদের জন্য বিপদ ওঁত পেতে থাকে, একই সঙ্গে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে টানাটানি, সবসময় হাহাকার লেগে আছে যাত্রীদের কণ্ঠে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দুর্দশাময় পরিস্থিতির পাশাপাশি রোমাঞ্চকর কাহিনী যেন মুভিটিকে অনন্য করে তুলেছে। শেষ পর্যন্ত সেই যাত্রীদের সঙ্গে কী ঘটল? জানতে হলে দেখেই ফেলুন।

Happy_Watching

“The Piano” Movie Review

Movie_Name: The Piano (1993)

Genre: Drama, Music, Romance

Director: Jane Campion

IMDB_Rating: 7.6/10 (77K Vote)

Tomatometer: 92% (61 Counts)

Metascore: 89/100 (20 Critic Reviews)

Runtime: 2h 1min

Personal_Rating: 8/10

Box_Office: $140 Million

83% Google users liked this

Spoiler_Alert

২০১৯ সালে BBC কর্তৃক ৮৪ দেশ থেকে ৩৬৮ ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের এক পোলে মহিলা ডিরেক্টর নির্মিত সেরা ফিল্ম হিসেবে নির্বাচিত হয় এই মুভিটি। মুভিটি ১৯৯৪ সালের Cannes Film Festival-এ সেরা মুভি নির্বাচিত হয়। এছাড়াও মুভিটি ১৯৯৪ সালের এ্যাকাডেমি এ্যাওয়ার্ডস-এ তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায়।

মুভিটি মূলত ফোকাস করে মানুষের গহীনে লুকিয়ে থাকা থাকা আবেগকে নিয়ে, যা মানুষের চরিত্রের অতি সাধারণ একটি প্রবৃত্তি৷ সভ্যতা যতই উন্নত হোক বা তার যতই পরিবর্তন আসুক, মানুষ কখনো তার আবেগকে অস্বীকার করতে পারে না।

অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডের এক সৈকতে আগমন ঘটে এ্যাডা নামের এক বোবা স্কটিশ মহিলার, যাকে তার বাবা স্টুয়ার্ট নামের এক ব্রিটিশ প্রবাসীর কাছে। সে সঙ্গে আনে সামান্য কিছু জিনিসপত্র, তার আট বছরের জারজ মেয়ে ফ্লোরা ও একটি পিয়ানো। কিন্তু স্টুয়ার্ট সেই পিয়ানোটিকে ভারী বলে এ্যাডার অনুরোধ সত্ত্বেও বাসায় আনতে বাধা দেয়। ফলে স্টুয়ার্ট সেটিকে বিক্রি করে দেয় তার প্রতিবেশী ইংরেজ বেইন্সের কাছে। আবার পিয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেইন্স অনিচ্ছুক এ্যাডাকে তার পিয়ানো শিক্ষক হিসেবে দাবি করে। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় এক অনিশ্চিত সম্পর্কের দিকে। বেইন্স এ্যাডাকে তার পিয়ানো ফিরিয়ে দিতে চায়, কিন্তু তার বিনিময়ে সে এ্যাডার কাছে যে জিনিসটি চায়, তা দিতে এ্যাডা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিল।

জেন ক্যাম্পিয়নের গল্প দর্শকদের মনে নাড়া জাগাতে বাধ্য, যা মাঝে মাঝে দর্শকদের স্বাভাবিক চিন্তাকেও ঘুরিয়ে দেয়। মুভির একক অভ্যন্তরীণ দৃশ্যগুলো যেন কাহিনীকে আরো আবহময় করে তুলেছে। আবেগ ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ বাদেও কাহিনী শুধু সেই পিয়ানোকে ঘিরেই আবদ্ধ থাকে নি, তা দেখিয়েছে মানুষের জীবনের একাধিক বাস্তবতাকে। মুভির মূল তিন অভিনয়শিল্পীরও অভিনয় ছিল অসাধারণ, যেন তারা চরিত্রের মধ্যে সম্পূর্ণ ঢুকে গেছেন। আর সমাজের বিপর্যস্ত মানুষগুলোর মনের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা খেলা করে, তাই হয়ে উঠেছে গল্পের মূল প্রতিপাদ্য। শেষ পর্যন্ত এ্যাডা ও বেইন্সের জীবনে কী ঘটল? জানতে হলে দেখে ফেলুন মুভিটি।

Happy_Watching

Design a site like this with WordPress.com
Get started